আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার

আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার

 আধুনিক প্রযুক্তি কী ?

প্রযুক্তি বলতে একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। প্রযুক্তি এটিও নির্ধারণ করে যে একটি প্রজাতি কীভাবে তার প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাই এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করে। প্রযুক্তি মানব সমাজে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের একটি প্রয়োজনীয় পরিণতি। আধুনিক প্রযুক্তির তিনটি উদাহরণ হলোঃ ১। কম্পিউটার ২। ইন্টারনেট ৩। মোবাইল ফোণ। 

পেজ সূচিপত্রঃ




প্রযুক্তির বিকাশঃ


                         

সভ্য়তার যত অগ্রগতি হচ্ছে ততই আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তি দেখতে পাচ্ছি। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে ও বিকশিত হচ্ছে। আগে পৃথিবীতে জনসংখ্যা কম ছিল।ভেবে দেখ. বহুতল ভবন নির্মাণ এবং বাস ও ট্রেন নির্মাণের প্রযুক্তি ছাড়া শহরে বাস করা কি সম্ভব ?  আধুনিক সভ্যতায় সময় মেনে চলা অনেক জরুরী। ঠিক সময়ে স্কুলে যাওয়া, ট্রেন ধরতে ঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছাণো। ঘড়ি উদ্ভাবিত না হলে সময় চলা সম্ভব ছিলো না। তাই বলা হয় প্রয়োজনবোধই উদ্ভাবনের উৎস।

প্রযুক্তির প্রভাবঃ

আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার যুগে আমাদের সবার বাড়িতেই আজ স্মার্ট টেকনোলজিক্যাল ডিভাই আছে। উন্নত মানের মোবাই, পারসোনাল কম্পিউটার, টেলিভিশন সহ আরও অনেক গ্যাজেটই আমাদের বাড়িতে রয়েছে। আমরা সবাই সারা দিন ব্যস্ত থাকি আমাদের মোবইল বা কম্পিউটার নিয়ে। এ জন্য আমরা পরিবারের শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি না যার কারণে শিশুরা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিশুরা প্রযুক্তিতে আসক্ত হওয়ার ফলে পড়াশোনয় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে

মানবজীবনে প্রযুক্তির প্রভাবঃ

প্রযুক্তির জন্য মানুষ বিপদমুক্ত হয়ে উঠেছে, নিরাপদ থাকতে পরছে। প্রযুক্তির সাথে জীবনের সম্পর্ক না থাকলে মানবজীবন আদিমতায় ঢেকে যেত। প্রযুক্তি ব্যবহার আমাদের জীবন মানকে উন্নত করেছে। আমাদের জীবন যাত্রাকে দ্রুত ও আরামদায়ক করেছে। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্টীয় জীবনে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ থাকতে, ভালোভাবে বাচতে এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি।

প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাবঃ

প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাব রেয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লা পুড়িয়ে আমরা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করি কিন্তু এর ফলে বায়ু দূষিত হয়। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও এসিড বৃষ্টির মতো পরিবেশের উপর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে ভয়াবহ হলো যুদ্ধের অস্ত্র তৈরি এবং তার ব্যাবহার। প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে হয়েছে ?


প্রযুক্তির উন্নয়ন নতুন আবিষ্কারের ধারণার মাধ্যমে, পরবর্তীতে চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যা এর জন্ম নেই। প্রযুক্তির উত্তরোত্তর উন্নয়ন আকাশচুম্বী সফলতা লাভ করে এবং বড় বড় নগরের বাসিন্দারা এখন তাদের কাজের জন্য ও খাদ্য সরবরাহ করার জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির যানবাহন এর উপর নির্ভরশীল।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাকে বলে ?


প্রযুক্তি বলতে বোঝায় কোনো একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে। বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মানুষের কাজে লাগানোর উপায়কে প্রযুক্তি বলে থাকে। যেমন-যানবাহন একটি প্রযুক্তি যা বিজ্ঞানের আবিষ্কার। এর মাধ্যমে আমরা বসে থেকে এবং অনেক তারাতারি এক জাইগা থেকে অন্য জাইগায় যাওয়া আসা করতে পারি


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য ?


ভোত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণ যোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য তার সুশৃঙ্খল নিয়ম তান্ত্রিক গবেষণা এবং সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান ভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। অন্যদিকে যখন এই পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান মানুষের প্রয়োজন অথবা সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয় তখন তা প্রযুক্তি বলে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি ও কি কি ?


বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে ১৮টি পাবলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

নিচে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
  • চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

                      লেখকঃ শাহনেওয়াজ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url