আধুনিক জগৎতে নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার উপায়

 আধুনিক জগৎতে নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার উপায়


স্মার্টনেস কি?

স্মার্টনেস হল বুদ্ধিমত্তা এবং শরীরি ভাষার সমণ্বয়ে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষ করার ক্ষমতা। স্মার্ট মানুষ যেকোন পরিস্থিতিতে খুব সহজেই অন্য মানুষদের মাঝে নিজের কথা বা আইডিয়াকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে। স্মার্ট মানুষদের মধ্যে সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে যেকোন বিষয় সম্পর্কে তাদের সাধারণ ধারণা থাকে।যা অন্যদের চোখে তাকে তুখোড় বুদ্ধিমান বলে মনে করায়।

                                              


পেজ সূচিপত্রঃ


স্মার্টনেস কেন প্রয়োজন?

আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে রাতে পুনরায় বিছানায় যাওয়ার আগে পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ের সার্কেলে কত শত মানুষের সাথে উঠাবসা করেছেন একবার ভেবে দেখেছেন?আপনাকে প্রতিদিন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শত শত মানুষের সাথে চলতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই যে কোনো কাজের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়। 

আপনি যত বেশি মানুষকে কনভেন্স করতে পারবেন, ততই কাজের গতি আপনার স্মুথ হবে। আপনি সহজেই সাফল্যের দেখা পাবেন।

নতুন কিছু শিখতে প্রস্তুত থাকুনঃ


শেখার ক্ষেরে কোথাও না শব্দটি বলবেন না। আপনি নিজেও জানেন না আজকে যেটা শিখেছেন সেটা কখন কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে আপনার জীবনের খুব গরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে এসে কাজে লেগে যাচ্ছে।  সবসময় নতুন কিছু শেখার  জন্য প্রস্তুত থাকুন। এর ফলাফল হয়ত আপনি সাথে সাথেই পেয়ে যেতে পারেন অথবা ভবিষ্যতে যে কোন পর্যায়ে এটা আপনাকে সাহায্য করবে এবং অন্যদের চাইতে স্মার্ট করে তুলবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করুনঃ

আপনি জানেন কী? ভালো পোশাক ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য, সভ্যতা, স্মার্ট ও লজ্জাশীলতার পরিচয়ক। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকবেন। কারণ প্রায় সবাই পছন্দ করে এবং দেখতে ভালো লাগে। ঠিক যদি পরিপূর্ণ স্মার্ট হতে চান, তাহলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ও একটু আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করা উচিত। এই যুগে সবাই আগে পোশাক টাই দেখে এবং পোশাক ভালো থাকলেই সম্মান দেয়।

অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকুনঃ

স্মার্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে সব জায়গাই অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। আপনার মধ্যে সব গুণই বিদ্যমান কিন্তু যদি বেশি কথা বলেন, তাহলে আপনাকে বিরক্ত মনে করবে।

কথা বলার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

  1. সঠিক ও নিশ্চিত হচ্ছে কিনা।
  2. স্পষ্ট ভাষায় হচ্ছে কিনা।
  3. তর্ক-বিতর্ক যেন না হয়।
  4. নিতিবাচক হওয়া

অনলাইন সম্পর্কে স্মার্ট হনঃ

স্মার্ট হওয়ার উপাই একটি সহজ দিক হল অনলাইন সঙ্গে যুক্ত থাকা। সোশাল সাইটগুলির সঙ্গে যুক্ত থেকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। অনলাইন সম্পর্কে ভাোল ধারণা থাকলে সকল জায়গাই সকল পরিস্থিতে মোকাবেলা করতে পারবেন।

যা জানেন তা অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

আপনি যা শিখেছেন, আপনি যেটা জানেন সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এর ফলে আপনি আপনার আইডিয়া সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারবেন। যেটা আপনার আইডিয়াকেে আগের চেয়েও সুক্ষ ও পরিপূর্ণ করে তুলবে। তাই কখনো নিজের আইডিয়া অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভয় পাবেন না।

বেশি বেশি ভ্রমন করুনঃ

ভাষা শেখার মত বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন আপনাকে স্মার্ট করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজের দেশের বিভিন্ন শহর ভ্রমনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ ভ্রমন আপনাকে বিস্মিত করে তুলবে যে এই বিশ্বে কত প্রজাতির প্রাণী, কত জাতি বর্নের মানুষ ও ভিন্ন জনগোষ্ঠির দেশ রয়েছে।

নিজেকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলুনঃ

নিজেকে শিক্ষিত করার অন্যতম অর্থ হচ্ছে নিজেকে জানুন এবং আপনার চারদিকের পৃথিবিকে জানুন। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রী অর্জন এবং মাথাই পুঁথিগত বিদ্যা স্টোর করে রখাই শুধু শিক্ষিত মানুষের কাজ নয়। প্রতিনিয়ত যা ঘটছে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরী।

বেশি গণিত চর্চা করুনঃ

স্মার্ট হওয়ার অর্থ শুধু পোশাক-আশাক এবং চেহারাতেই স্মার্ট হওয়া নয়। স্মার্ট হতে হবে মস্তিষ্কে অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তিক হতে হবে। আর বুদ্ধিদীপ্ত হতে হলে মস্তিষ্ককে অর্তিরিক্তমাত্রায় উর্বর করতে হবে। এর জন্য আমরা বেশি বেশি গণিত করতে পারি, গণিতের বিভিন্ন ফর্মুলা এবং হিসাব-নিকাশ চর্চা করতে পারি।

                                লেখকঃ শাহনেওয়াজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url