ঘড়ে বসেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সহজ উপায়
ঘড়ে বসেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সহজ উপায়
জাতীয় পরিচয়পত্র্র সংশোধন করার নিয়ম ও অনলাইনে ভোটার আইডি কর্ড সংশোধন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। নিজে নিজে আইডি কার্ড সংশোধন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পর্যাক্রমে সাজানো হলো। ভোটার আইডি কার্ড এর যেকোন ভুল এখন অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সংশোধন করা যায় ঘড়ে বসেই।
পেজ সূচিপত্রঃ
- জাতিয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
- ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
- জাতিয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে
- ভোটার আইডি কার্ড কতবর সংশোধন করা যায়
- ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে রক্তের গ্রুপ যুক্ত বা পরিবর্তন করবেন
জাতিয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নিয়মঃ
একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার NID একাউন্টের ড্যাশবোর্ড থেকে এডিট প্রোফাইলে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করুন।সবশেষ সংশোধন ফি জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন জমা দিন।আবেদন এপ্রোভ হলে প্রোফাইল মেনু থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে সংশোধিত NID Card Download করুন।
ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন জমা দেয়ার গ খেয়াল রাখতে হবে যাতে চাহিত সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। আপনার ভোটার আবেদনে যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তার সত্যতা প্রমাণ করতে সত্যায়িত কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে হয়।
আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন সামঞ্জস্য এবং বৈধ্য হলে সাধারণত ২৫দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন অনুমোদন পেয়ে যায়। তবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এই অনুমোদনের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে।
- আধুনিক জগৎতে নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার উপায়
- আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার
- বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় ১০টি স্থান
- পুকুরে মাছ চাষ /পুকুরে মাছ চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের উপাই
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগেঃ
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে, তা নির্ভর করবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কি ধরনের তথ্য পরিবর্তন করা হবে তার উপর। NID Card সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোোগ্যতা সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ই-পাসপোর্ট প্রমাণ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
উপরে বর্নিত মৌলিক ডকুমেন্ট গুলো না থাকলে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এফডেভিট (হলফনামা), নাগরিক সনদ,ওয়ারিশ সনদআপলোড করতে হবে। আইডি কার্ডে স্বামীর নাম সংশোধন (পরিবর্তন) করতে কাবিন নামার প্রয়োজন হয়।
তেমনি ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রক্তের গ্রুপ না দেয়া থাকলে তা যুক্ত করতে অথবা (পরিবর্তন) করতে মেডিক্যাল ক্লিনিক হতে রক্তের গ্রুপিং টেস্ট রিপোর্ট আপলোড করতে হয়। ঠিকানা সংশোধন করতে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ বা ইউটিলিটি বিলের কাগজ জমা দিতে হবে।
ভোটর আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়মঃ
অনলান ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে এনআইডি ওয়েবসাইটে আপনার NID Number, জজজনন্মম ততারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। তারপর ফেস ভেরিফিকেশন করে অ্যাকাউন্ট লগইন করুন। আপনার প্রোফাইলের এডিট বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে আবেদন জমা দিন।
সবার বুঝার সুবিধার জন্য বিষয়টি কয়েকটি ছোট ছোট ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। চলুন আইডি কার্ড সংশোধন করার পুরো প্রকিয়াটি ধাপে ধাপে দেখে নেয়।
Step1:অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার
জাতীয় পরিিচয়পত্র ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করর জন্য প্রথমে ভিজিট কবতে হবে ওয়েবসাইটে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বার, জন্ম তারিক, ঠিকানা, মোবাইল নম্বার ভেরিফিকেশন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
step2:ফি প্রদান
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিতে হবে। সংশোধন ফি সংশোধনের ধরণ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগেঃ
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩৪৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনের ধরণের উপর সংশোধন ফি নির্ভর করে। ভোটার আইডি কার্ড সংংশোধন ৩টি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত-
- ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
- অন্যান্য তথ্য
- ঠিকানা পরিবর্তন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত তা উপস্থাপন করা হলোঃ
- ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে ২৩০টাকা
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা
- উভয় তথ্য সংশোধন করতে ৩৭৫ টাকা
- আইডি কার্ড রিইস্যু করতে (urgent) ৩৭৫ টাকা
- আইডি কার্ড রিইস্যু করতে (regular) ২৩০ টাকা
এন আইডি কার্ডের সংশোধন ফি বিকাশ, নগদ ও রকেট মোবাইল ব্যাংকিং ব্যাবহার করে পরিশোধ করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখে ভুল থাকলে তা পরিবর্তন করার জন্য নির্বাচন ওয়েবসাইটের ভোটার আইডি পোর্টালে লগইন করুন। তারপর প্রোফাইল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য অপশন থেকে এডিট বাটনে চেপে জন্ম তারিখের ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে, আপনার চাহিত জন্মতারিখ লিখুন।
সংশোধন ফি পরিশোধ করে আবেদন জমা দিন। ডকুমেন্ট আপলোড করার সময় আপনার চাহিত জন্ম তারিখ প্রমানিত হয় এমন প্রমানপত্র জমা দিন। জন্ম তারিখ সংশোধন করতে বেশি কার্যকরি ডকুমেন্ট হলো SSC, HSC and JSC Board Certificate. শিক্ষাগত সনদ না থাকলে পাসপোর্ট কংবা ড্রাইভিং লাইসেনস আপলোড দিলেও অনুমোদন পাওয়া যায়।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url