নার্সারী করে লাভবান হবার আধুনিক উপাই
নার্সারী করে লাভবান হবার আধুনিক উপাই
ভূমিকাঃ নার্সারী করে লাভবান হবার আধুনিক উপাই। নার্সারি ব্যবস্থাপনার মধ্যে মাটির উর্বরতা রক্ষা করা অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মাটির উর্বরতা রক্ষার বিবেচ্য বিষয় নার্সারির জমি উর্বর হতে
হবে, ক্রমাগত চারা কলম করার ফলে মাটির উর্বরতা দ্রুত নষ্ট হয়। এজন্য মাটি
গভীরভাবে কুপিয়ে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া য়াক
কিভাবে নার্সারী করে লাভ্যবান হবো তার আধুনিক উপাই সমূহ।
পেজ সূচিপত্রঃ
- নার্সারী স্থাপনের জন্য যেরূপ স্থান নির্বাচন করতে হয়
- নার্সারীতে শীতকালে যে যে সবজি চাষ করা যেতে পারে
- নার্সারীতে সবজি বাগানের পরিচর্যা যেভাবে করা প্রয়োজন
- নার্সারীতে কলমের চারা বিক্রয়ের জন্য যে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার
- নার্সারীতে টব থেকে চারা যেভাবে অপসারণ করা যায়
- নার্সারীর চারদিকে বেড়া দেবার প্রয়োজনীয়তা
- টবের চারার পার্শ্বকাণ্ড কেটে দেওয়ার কারণ
- গুটি কলমের ডাল যেমন হওয়া উচিত
- বীজতলার মাটি ভাল করে শুকিয়ে নেওয়ার কারণ
- নার্সারীর জন্য বীজ সংগ্রহের পর যেভাবে সংরক্ষণ করতে হবে
নার্সারী স্থাপনের জন্য যেরূপ স্থান নির্বাচন করতে হয়ঃ
উদ্যান নার্সারি স্থাপনের জন্য প্রথমেই স্থান নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনা করতে
হবে। স্থান নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূণ বিষয়গুলো হলো-
- আলো বাতাসযুক্ত উঁচু ও উম্মুক্ত স্থান।
- নার্সরির পাশে পানি সেচের ভাল ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেচের জন্য টিউবয়েল স্থাপন করা যেতে পারে।
- জমি হতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- বিপণন সুবিধার জন্য শহর, বাজার, রেলষ্টেশন বা বড় বড় রাস্তার পাশে নার্সারি স্থাপন করা যুক্তিসঙ্গ।
নার্সারীতে শীতকালে যে যে সবজি চাষ করা যেতে পারেঃ
নার্সারিতে শীতকালে সকল প্রকার সবজি চাষ করা যেতে পারে। তাদের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল- বেগুন, টমেটো, মরিচ, গোল আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম,
মূলা, মটরশুটি, গাজর, লালশাক, লেটুস, পালংশাক, পেঁয়াজ, রসুন, শিম, লাউ, বাটিশাক
ইত্যাদি।
নার্সারীতে সবজি বাগানের পরিচর্যা যেভাবে করা প্রয়োজনঃ
নার্সারিতে সবজি বাগানের পরিচর্যা নিম্নরুপে করা প্রয়োজন-
- সবজি বাগান নিয়মিত নিড়ানি দিয়ে আগাছামুক্ত রাখতে হয়।
- প্রয়োজনে সেচ দিতে হয়।
- মাটিতে রস সংরক্ষণের জন্য গাছের গোড়ার মাটি কচুরিপানা বা আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে তৎক্ষণাৎ দমনের ব্যবস্থা নিতে হয়।
নার্সারীতে কলমের চারা বিক্রয়ের জন্য যে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকারঃ
কলমের চারা বিক্রয়ের জন্য যে সকল প্রস্তুতি নেয়া দরকার সেগুলোর নিম্নরূপঃ
- নার্সারীতে কলম বা বীচের চারা যাই হোক না কেন ট্যাগে চরার জাত, চারার বয়স, নার্সারীর নাম ও মূল্য লিখে প্রতিটি গাছে বেঁধে রাখতে হবে।
- পাতাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
- মরা ডালপালা সরিয়ে ফেলতে হবে।
- টবগুলোতে রং লাগাতে হবে। গ্রাহক এলে যেন চারাগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়।
নার্সারীতে টব থেকে চারা যেভাবে অপসারণ করা যায়ঃ
দীর্ঘদিন টবে চারা থাকলে সজীবতা কমে যায় ও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই স্বল্পকালিণ
সময়ের জন্য টব থেকে চারা অপসরণ করার দরকার হয়। চারা অপসারণকালে টব অক্ষত রাখার
চেষ্টা করা দরকার। অপসরণের পূর্বে টবে হালকা সেচ দিতে হবে। টবের মাটি নরম ও
একটু আলগা হলে টবটিকে উপুড় করে ডান হাতে তুলে চারার গোড়াটি মধ্যমা ও তর্জনীর
মাঝে রেখে টবের কিনারে কোন শক্ত জিনিস দ্বারা কয়েকবার ঠুকালে চারাগাছ সহজেই
মাটি ও মূলসহ আলগা হয়ে বেরিয়ে আসবে। টবটি মাটিতে কয়েকবার গড়িয়ে নিয়েও এ কাজটি
করা যায়।
নার্সারীর চারদিকে বেড়া দেবার প্রয়োজনীয়তাঃ
বাগানের চারদিকে বেড়া দেবার প্রয়োজন অত্যাধিক। কারণ বড়ো দিলে সবজি চারাসমূহকে
গরু-ছাগল বা অন্যান্য পুশুর হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
টবের চারার পার্শ্বকাণ্ড কেটে দেওয়ার কারণঃ
কলম করা চারার জোড়া থেকে প্রায়শই নতুন শাখা বের হয়। এটা বড় হতে দিলে জোড়া লাগা
কাণ্ডটি সরে যায়। তাই টবে রাখা চারার গোড়ার পার্শ্বকাণ্ড কেটে দিতে হয়।
গুটি কলমের ডাল যেমন হওয়া উচিতঃ
গুটি কলমের জন্য উপযুক্ত ডালের যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা নিম্নরূপঃ
বীজতলার মাটি ভাল করে শুকিয়ে নেওয়ার কারণঃ
বীজতলার মাটি ভাল করে শুকিয়ে নিতে হয় কারণ-
- এতে মাটির ভেতরের রোগ জীবাণু নষ্ট হয়।
- মাটির সাথে গোবর ও কমপোষ্ট সার মিশানো সহজ হয়। ফলে বীজতলা থেকে চারা উৎপাদন সহজ হয়।
নার্সারীর জন্য বীজ সংগ্রহের পর যেভাবে সংরক্ষণ করতে হবেঃ
যে প্রক্রিয়ায বীজ বোনার পূর্ব পর্যন্ত সংগৃহীত বীজ নিরাপদে রাখা হয় তাকে
বীজ
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url